মিলাদে-মোস্তফার-ﷺ-প্রকৃত-আদর্শ-গাউছুল-আজম-রাদ্বিয়াল্লাহু-আনহু-এর-দরবারে

 

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদস্থ গাউছুল আজম কমপ্লেক্সে কাগতিয়া দরবারের মিলাদুন্নবী (দঃ) মাহফিলে বক্তারাঃ

মিলাদে মোস্তফার (ﷺ) প্রকৃত আদর্শ গাউছুল আজম (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এর দরবারে

বক্তারা বলেন ধূলির ধরায় রাহমাতুললিল আলামিন হয়ে শুভাগমন করেন হাবীবে খোদা (দ.)। যাঁর আগমনের সুসংবাদ দিয়ে গেছেন পূর্ববর্তী সকল পয়গম্বরগণ।

পৌত্তলিকতার পাপাচারে নিমজ্জিত মানব সম্প্রদায়কে তিনি হেদায়তের আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন, আল্লাহর মনোনীত দ্বীন-ইসলামকে প্রতিষ্ঠা ও পূর্ণতা দান করেছেন।

অন্ধকারাচ্ছন্ন আইয়্যামে জাহিলিয়্যাতকে রূপান্তর করেছেন সোনালী যুগে। বক্তারা আরো বলেন, চৌদ্দশত বছর পরে এসে নবীজির মুহাব্বতের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রা.)। যাঁর চরিত্রে প্রস্ফুটিত হয় নবীজির সকল সুন্নাহ। বর্তমানে এই রাসুলনোমা তরিক্বতের মহান দায়িত্ব পালন করছেন তাঁরই একমাত্র প্রতিনিধি মাননীয় মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী। হেদায়তের আলোকবর্তিকা হয়ে তিনি লক্ষ লক্ষ পথহারা যুবকদের কল্ববে নূরে মোস্তফা(ﷺ) বিতরণ করে আল্লাহ ও রাসুল(ﷺ)-এঁর পথে ফিরিয়ে আনছেন। আধ্যাত্মিকতা চর্চার আলোকে দেশ ও জাতির কল্যাণে মাতৃভূমিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন। নফসানিয়্যত অবদমিত করে রুহানিয়্যত বিকাশের মাধ্যমে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বাদে যোহর হতে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদস্থ গাউছুল আজম কমপ্লেক্সে ৭০ তম জশ্নে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) মাহফিলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উদ্দেশ্যে বক্তারা একথা বলেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্য এবং সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মিলাদুন্নবী (দ:) মাহফিলে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুহাম্মদ শফিউল আলম,সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ ফোরকান মিয়া, প্রমূখ।

মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ এর উদ্যোগে পবিত্র জশ্নে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) মাহফিল উপলক্ষে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বাদে যোহর খতমে কুরআনে করিম ও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) শীর্ষক আলোচনা, বাদে আছর- খতমে শেফা, বাদে মাগরিব- মোরাকাবা ও জিকিরে গাউছুল আজম মোর্শেদী। উল্লেখ্য যে, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) উপলক্ষে ২০৫৯টি খতমে কোরআন, ১৩৭টি তাহলিল, ৬২টি খতমে ইউনূচ ও ৫২ টি দরূদে সাইফুল্লাহ আদায় করা হয়।

মিলাদ ও কিয়াম শেষে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্হুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।

স্বকীয় বৈশিষ্ট্য সমূহ

সাম্প্রতিক সংবাদ সমূহ

গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ