ত্যাগ-ও-কোরবানির-বিনিময়ে-অর্জিত-হয়-পবিত্র-কারবালার-আদর্শ

 

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদস্থ গাউছুল আজম কমপ্লেক্সে কাগতিয়া দরবারের আশুরা মাহফিলে বক্তারাঃ

ত্যাগ ও কোরবানির বিনিময়ে অর্জিত হয় পবিত্র কারবালার আদর্শ।

ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সুমহান ঘটনা প্রবাহের জন্য মহররম মাস প্রসিদ্ধ। এই মাসেই বহু স্মরণীয় ঘটনা ঘটে। মহররমের দশম দিন আশুরা নামে পরিচিত। এই দিনেই ইতিহাসের সবচেয়ে হৃদয় বিদারক ঘটনার সাক্ষী হয় পৃথিবীবাসী। প্রিয় নবী (দ.) এঁর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (রা.)’কে ফোরাত নদীর তীরে শহীদ করা হয়। ইমাম হুসাইন (রা.) সম্পর্কে প্রিয় রাসুল (দ.) এরশাদ করেন হুসাইন আমার থেকে, আমি হুসাইন থেকে। প্রিয় রাসুল (দ.) এঁর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্রের শাহাদাতের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যুগে যুগে যারাই হকের পথে আল্লাহর দ্বীনকে, নবীজির সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে তারাই বিভিন্নভাবে আঘাতের শিকার হবে। কারবালার করুণ ঘটনার মাধ্যমে তারই প্রতিফলন ঘটে। শেষ যুগে এসে প্রিয় নবীজির উপহার দেওয়া এ তরিক্বতকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আজীবন ত্যাগ ও কুরবানির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে হযরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে। যে তরিক্বতে রয়েছে দৈনিক ১১১১বার মুহাব্বতের নিয়তে দরূদ শরীফ পড়ার পদ্ধতি যা কখনো ক্বাজা হয়ে গেলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদায় করতে হয়। এছাড়াও রয়েছে মোরাকাবা, ফয়েজে কুরআন সহ হারিয়ে যাওয়া বহু সুন্নাহ। কবুল হওয়া এ মহান তরিক্বতের এশায়াত করতে গিয়ে সহ্য করতে হচ্ছে বহু নির্মম আঘাত। যা স্মরণ করিয়ে দেয় কারবালায় ঘটে যাওয়া ঘটনাকে। পাপিষ্ঠ ইয়াজিদ আজ ঘৃণ্যতম নিকৃষ্ট ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত। আর হযরত ইমাম হুসাইন (রা.) সম্মান, মর্যাদা ও ভালোবাসার সাথে যুগ যুগ ধরে স্মরণীয়, বরণীয় ও সম্মানীয় হয়ে আছেন। অনুরূপভাবে হযরত গাউছুল আজম (রা.) এঁর তরিক্বতের যাবতীয় আঘাতের বিনিময়ে এ তরিক্বত শানে মানে মহিমায় চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে ইতিহাসের পাতায়। এ তরিক্বতের মাধ্যমে সকলে পান করতে পারবে মুহাব্বতে রাসুলের অমৃত সুধা।

গত (২৮ জুলাই) শুক্রবার বাদে জুমা হতে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদের গাউছুল আজম কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত শোহাদায়ে কারবালা স্মরণে ৭১তম পবিত্র আশুরা মাহফিলে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তারা একথা বলেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্য এবং সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আশুরা মাহফিলে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ ফোরকান মিয়া, হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুহাম্মদ শফিউল আলম প্রমূখ।

মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ এর উদ্যোগে পবিত্র আশুরা মাহফিল উপলক্ষে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বাদে যোহর খতমে কুরআনে করিম ও পবিত্র শোহাদায়ে কারবালা শীর্ষক আলোচনা, বাদে আছর- খতমে শেফা, বাদে মাগরিব- মোরাকাবা ও জিকিরে গাউছুল আজম মোর্শেদী।

উল্লেখ্য যে, পবিত্র আশুরা উপলক্ষে ১২৮৫টি খতমে কোরআন, ৮৫টি তাহলিল, ৩২টি খতমে ইউনূচ ও ৩৬ টি দরূদে সাইফুল্লাহ আদায় করা হয়। মিলাদ ও কিয়াম শেষে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্হুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।

 

 

 

 

 

মাদরাসার সাম্প্রতিক সংবাদ সমূহ

স্বকীয় বৈশিষ্ট্য সমূহ