আল্লাহর স্মরণে অন্তর সমূহ প্রশান্ত করা, মোরাকাবা বা ধ্যান এবং জ্যোতিরাশির অবস্থা সমূহ

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
(আল্লাহর নামে আরম্ভ, যিনি অত্যন্ত দয়ালু ও পরম করুণাময়।)
الَّذِينَ آمَنُوا وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللَّهِ ۗ أَلَا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
( الرعد - ٢٨) -
বঙ্গানুবাদ :: “যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের অন্তর প্রশান্ত হয়; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ প্রশান্ত হয়।” - [সূরা রা’দ, আয়াত - ২৮]
আল্লাহর স্মরণে অন্তর সমূহ প্রশান্ত করা, মোরাকাবা বা ধ্যান এবং জ্যোতিরাশির অবস্থা সমূহ
কাগতিয়া সিলসিলায় ফযর ও মাগরিবের নামায অন্তে কিছুক্ষণ মোরাকাব বা ধ্যান করার একটি পদ্ধতি আছে। চোখ বন্ধ করে যার ছবক যেখানে, সেখানে নীরবে আল্লাহ আল্লাহ খেয়াল করতে হয়। মানুষের ক্বলব পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে এ ধ্যানের যথেষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। গুরুত্ব এবং ফযিলত ও অপরিসীম। হযরত নবী করিম (সঃ) ফরমান, “কিছুক্ষণ আল্লাহর ধ্যানে বসা, হাজার বছর নফল এবাদতের চেয়ে ও উত্তম” ফযরের মোরাকাবার সাথে আরো অতিরিক্ত ছওয়াবের কথা উল্লেখ আছে। “জামী” থেকে বর্ণিত, ফযরের নামায শেষে সূর্যোদয় পর্যন্ত মোরাকাবা করে ইশরাকের নামায আদায় করলে, আল্লাহ্পাক তাঁকে এবং সাথে সংশ্লিষ্ঠ ৭০ হাজার লোককেও ক্ষমা করে দিবেন এবং তাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে রেহাই দেবেন।
লোহার তৈরী একটি দা বা ছুরিকে যদি প্রতিদিন কিছুক্ষণ পর্যন্ত শান দেওয়া হয়, তাহলে ঐ দা বা ছুরির শান কোন্ পর্যায়ে পৌঁছবে, তা সহজে অনুমেয়। তদ্রুপ মোরাকাবার ব্যবহারিক অর্থ হল, ক্বলবকে শান দেওয়া। নিয়মিত ক্বলবকে কিছুক্ষণ শান দিলে ঐক্বলব আয়নার মত হয়ে উঠবে। ক্বলবের সেই আয়নার মাধ্যমে অনেক কিছু দেখা যাবে। অনেক কিছু জানা যাবে।
বাতেনী চোখ দিয়ে ক্বলবের নূর দেখা সম্ভব হবে। হযরত নবী করিম (সঃ) ফরমান, “মোমেনের ক্বলব আয়না স্বরুপ”। ঘুমন্ত অবস্থায় যে স্বপ্নগুলো দেখা যায় তাতে কিছু কিছু সত্য এবং কিছু কিছু মিথ্যেও থাকে। কিন্তু জাগ্রত অবস্থায় ক্বলবের সাহায্যে যা কিছু দেখা যায় তাতে বিন্দু মাত্রও মিথ্যে নেই। আল্লাহ্তায়ালা এরশাদ করেন,অন্তর দিয়ে যা কিছু দেখা হয়, তা মিথ্যে নয়। মুরীদের অন্ধকারাচ্ছন্ন ক্বলব থেকে গুনাহের কালো পর্দা সরে যাওয়ার পর, সম্পূর্ণভাবে যদি পবিত্রতা অর্জন করতে সক্ষম হয় এবং রূহানিয়াত ও আধ্যত্মিকার সহিত তাঁর যদি পরিপূর্ণ সম্পর্ক কায়েম হয়ে উঠে, তখন তাঁর মাঝে আনোয়ারে ইলাহী বা ঐশী জ্যোাতিরাশি প্রকাশিত হতে থাকে। মুরীদ কোন সময় সেই জ্যোতিরাশি বা নূরের প্রকাশ নিজের অভ্যন্তরে দেখতে পায়, আবার কোন সময় নিজের বাইরে প্রত্যক্ষ করতে সক্ষম হয়। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেন,আল্লাহ যাকে ইচ্ছে করেন তাকে সেই নূরের সন্ধান দেন। সাধনা না করে সেই নূরের সন্ধান পাওয়া সম্ভব নয়। লতিফাগুলো পবিত্রতা অর্জন করলে, রূহানী চোখ দ্বারা সেই নূর দেখা সহজ হবে। আলাহোর সিফাতের নাম সমূহের নূর দ্বারা জ্যোতির্ময় হবে। ক্রমান্বয়ে উক্ত নূর সমূহ তিরোহিত হবে। ফলে স্বয়ং আল্লাহর নূরে জ্যোতির্ময় হবে। হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রঃ) “সিররূল আসরার” কিতাবে লেখেন, ক্বলবের দু’টি চোখ আছে। একটি বড় এবং অন্যটি ছোট। ছোট চোখ সিফাতের নূরসমূহ আল্লাহ পাকের নূর দ্বারা আলমে দারাজাতের শেষ সীমা পর্যন্ত দর্শন করে। বড় চোখ, আলমে লাহুতে এবং আলমে তওহীদের নূর দ্বারা মহান আল্লাহর জাতি নূরসমূহ অবলোকন করে। আল্লাহর পবিত্র সিফাতি নূর সমুহ দৃষ্টিগোচর হয়। সাথে সাথে ক্বলবের আয়নায় আল্লাহর প্রতিবিম্ব প্রতিফলিত হয়। হুজুর (সঃ) এরশাদ করেন, “মোমেন আল্লাহর পবিত্র নূর দ্বারা দেখে।”
এখানে আরো একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, আমাদের প্রাণপ্রিয় মোর্শেদ কেবলার নিকট থেকে সিনা – ব -সিনা ছবক, ফয়েজ গ্রহণের’ পর, মোরাকাবার সময় ক্বলব, রূহ্ ছির ইত্যাদি লতিফায় গরম, ঠান্ডা, ভারী ও টিক্ টিক্ করে নড়াচড়া করার অনুভূতির সৃষ্টি হয়। মূলতঃ এটা হল, আমাদের মোর্শেদে কেবলা তাওযাজ্জুহ্ বা ছবক প্রদানের মাধ্যমে নিজছিনা মোবারক থেকে মুরীদের ক্বলবে যে নূর দান করেন, তারই প্রভাব। কারণ কোরআন হদীস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নূরে পাকের মধ্যে এসব বৈশিষ্ট বিদ্যমান।
আল্লাহ্পাক এরশাদ করেন,আমি আপনার,(রাসুল(সঃ)) এর প্রতি ভারী কালাম অবর্তীর্ণ করব। এখানে ভারী কালাম দ্বারা পবিত্র কোরআন তথা অহীকে বোঝানো হয়েছে। মোফাচ্ছেরীনে কেরামদের মতে, কোরআনকে ভারী বলার কয়েকটি কারণ আছে। তম্মধ্যে, এটাও উল্লেখযোগ্য যে, কোরআন অবতীর্ণ হওয়ার সময় রাসুলে পাক (সঃ) বিশেষ ওজন ও ভারী অনুভব করতেন। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রঃ) থেকে বর্ণিত, উটের উপর সওয়ার অবস্থায় হযরত নবী করিম (সঃ) এর নিকট অহী নাযিল হলে, অহীর ওজনে উট হাঁটতে পারতনা। উট নীচু হয়ে যেত। যার করণে হুজুর (সঃ) উট থেকে নেমে যেতেন। এপ্রসঙ্গে হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রঃ) এ আয়াতটি তেলাওয়াত করেন। কোরআনে পাকের আয়াত এর অন্তর্ভূক্ত শুধুমাত্রা অংশটি অবতীর্ণ হওয়ার সময় হযরত নবী করিম (রঃ) এর মাথা মোবারক তাঁর বিশিষ্ট সাহাবা হযরত জায়েদ বিন ছাবেত (রঃ) রান মোবারকের উপর ছিল। জাযেদ বিন ছাবেদ (রঃ) বলেন, সে সময় অহীর ওজনের কারণে, আমার রান ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। এ বর্ণনবা থেকে বোঝা যায়, অহীর প্রভাব ভারী অর্থাৎ ওজন বিশিষ্ঠ। অনুরূপভাবে ছহী বোখারী শরীফের প্রথম দিকে উম্মুল মোমেনীন হযরত আয়েশা (রঃ) থেকে একটি হাদীস বর্ণনা করা হয়। তিনি বলেন, খুব ঠান্ডার মৌসুমে রাসুলে পাক (সঃ) এর নিকট অহী অবর্তীণ হওয়ার পর তাঁর কপাল মোবারক থেকে প্রচুর ঘাম বের হত। সাধারনণ মানুষের কাছে গরম অনুভব হলে ঘাম বের হয় । এ সমস্ত ঘটনার আলোকে এ কথাই প্রমাণিত হয়, অহীর প্রভাবে রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর নিকট গরম অনুভব হত এবং দেহ মোবারক থেকে ঘাম বের হত।
বোখারী শরীফে আরো উল্লেখ করা হয়, হেরা পর্বতের গুহায় হযরত রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর নিকট আল্লাহর বাণী অর্থাৎ অহী নিয়ে আসার সময় তাঁর ক্বলব কম্পন করতে থাকত। ক্বলবে নড়াচড়া অনুভব হত। মূলত এটাও ছিল অহীর তাছির বা প্রভাব। তাই এ হাদীসের ব্যাখ্যায় হাদীস বিশারদগণ বর্ণনা করেন যে, অহীর মাধ্যমে হযরত নবী করিম (সঃ) আল্লাহ প্রদত্ত যে ফয়েজ অর্জন করেছিলেন, ক্বলব কম্পন করা মানে তারই প্রভাব রাসুলে পাকের ক্বলবে বিস্তার করা (মেরয়াতুল মানযীহ্)।
এ রেওয়ায়তে আরো বর্ণনা কা হয় যে, অহী নিয়ে আসার পর, আল্লাহর রাসুল, হযরত খাদিজতুল কোবরা (রাঃ) কাছে গিয়ে তাঁকে মস্বোধন করে বলতেন,আমাকে কম্বল মুড়ায়ে দাও। আমাকে কম্বল মুড়ায়ে দাও। মানুষের কাছে ঠান্ডা অনুভব হলে স্বভাবতঃ কম্বল বা চাদর চায়। অতএব পরবর্তীতে রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর নিকট অহীর তাছির বা প্রভাব বিরাজমান থাকার কারণে তিনি গায়ে দেওয়ার জন্য কম্বল খুঁজছেন।
উল্লেখ্য যে, অহী হল, আল্লাহ প্রদত্ত এক প্রকার ঐশী নূর। আল্লাহপাক এরশাদ করেন আমি তোমাদের উপর এক প্রকার উজ্জ্বল নূর অবতীর্ণ করেছি। এখানে নূর দ্বারা পবিত্র কোরআন অর্থাৎ অহীকে বোঝানো হয়েছে। অতএব প্রমাণিত হল, গরম, ঠান্ডা,ভারী, কম্পন ও নড়াচড়া অনুভব হওয়া, এগুলো হল, নূরে পাকের বৈশিষ্ট। ফলে, এ অহী প্রদ্ত্ত নূর অবতীর্ণ হওয়ার সময় এ নূরের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে রাসুলে পাকের নিকট কোন সময় গরম অনুভব হত, কোন সময় ঠান্ডা লাগত, কোন সময় ভারী অনুভব হত, আবার কোন কোন সময় ক্বলবে কম্পন সৃষ্টি হত। অনুরূপভাবে, আমাদের মোর্শেদ কেবলা সীনা-ব-সীনা তাওয়াজ্জুহ্ ও ছবক প্রদানের মাধ্যমে মুরীদের ক্বলবে নিজ সীনার বাতেনী নূর ও ফয়েজ দান করে থাকেন। এ নূরের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে মুরীদেরা যথানিয়মে মোরকাবা করার সময় কারো ক্বলবে গরম, কারো ক্বলবে ঠান্ডা ও ভারী, আবার কারো কারো ক্বলবে কম্পন ও নড়াচড়া অনুভব হয়। আমাদের হুজুর কেবলার মুরীদদের মধ্যে এমন ও অনেক ব্যক্তি আছে, মোরাকাবা ছাড়া স্বাভাবিক চলাফেরার সময় ও এ ধরনের অনুভূতি হয়।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, বৈদ্যুতিক হিটারে বিদ্যু সংযোগ দিলে তার প্রভাব গরম হয়। ফ্রীজের মধ্যে দিলে ঠান্ডা হয়, আবার বৈদ্যুতিক পাখায় দিলে তা অবিরাম ঘুরতে থাকে। অনুরূপভাবে আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কারো ক্বলব হিটারের বৈশিষ্ট্য, কারো ক্বলব ফ্রীজের, আবার কারো ক্বলব পাখার বৈশিষ্ট্যওয়ালা। অতএব, পীরে কামেল আল্লাহর অলীদের সীনা মোবারকের বাতেনী নূর বন্দার ক্বলবে ঢুকলে নূরে পাকের এ শক্তিতে এক এক জনের ক্বলবে এক এক ধরনের অনুভব অনুভূতির সৃষ্টি হয়। ক্বলব ছাড়া অন্যান্য লতিফায়ও এ ধরনের অনুভূতির সৃষ্টি হয়।
প্রকাশ থাকে যে, ক্বলবে এ ধরনের অনুভব হওয়া মানে ক্বলব আল্লাহর জিকিরে ব্যস্ত থাকা। সর্বদা আল্লাহ আল্লাহ করা। এটাকে ত্বরিকতের পরিভাষায় ক্বলব জারী হওয়া বলা হয়। গরম, ঠান্ডা ইত্যাদি যেমন নূরে পাকের বৈশিষ্ট্য। অনুরূপ ভাবে আল্লাহর জিকির এবং তসবীহ পাঠ করাও এই নূরে পাকের বৈশিষ্ট্য। নির্ভরযোগ্য বর্ণনা থেকে প্রমাণিত, হযরত আদম (আঃ) এর কপাল মোবারক ও শাহাদত আঙ্গুলির মধ্যে হযরত নবী করিম (সঃ) এর নূরে পাক আল্লাহর জিকির ও তসবীহ পাঠ করেছিল। (তফসীরে মায়ালেমুত তানযীল, রুহুল বয়ান, তারিখুল খমিছ) আল্লাহর অলীদের সীনা মোবারকের এই বাতেনী নূর তারে তাওয়াজ্জুর বিনিময়ে ত্বরিকত পন্থীদের ক্বলবে ঢুকে আল্লাহর জিকির ও তছবহি পাঠ করতে করতে ক্বলবকে জিকিরে অভ্যস্ত করে তোলে। এমন কি মৃত্যুশয্যায় শায়িত হলে ছাখরাতের বিছানায়ও এ পরিশুদ্ধ ক্বলব আল্লাহর জিকিরে লিপ্ত থাকবে। সে সময়, শয়তান এসে মানুষের মুখ দিয়ে কুফরী কালাম বের করার অপচেষ্টা চালালেও ক্বলব ক্বলব আল্লাহ আল্লাহ করতে থাকবে। আল্লাহ না করুন, এ সময় মুখ দিয়ে যা কিছু বের হোক না কেন, অন্ততপক্ষে ক্বলব দিয়ে তো আল্লাহর নাম বের হবেই। তাই আমাদের এ সিলসিলার অন্তর্ভূক্ত হলে, ছাখরাতের সময় মানুষ শয়তানের সাথে মোকাবেলা করে, আল্লাহ-রাসুলের নাম স্মরণ করে ঈমান নিয়ে ইহজগত থেকে পরজগতে যেতে সক্ষম হয়। ইন্শাআল্লাহ্।
তাছাড়াও মহান মোর্শেদ আওলাদে রাসুল হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী রুহানী ক্ষমতার মাধ্যমে নিজ মুরীধের ছাখরাতের সময় হাজর হয়ে শয়তানের সাথে মোকাবেলা করে, তাকে কলেমা পড়াবেন (মীজানুশ শরীয়াতি কোবরা, আ’লা হযরত রচিত হায়াতুল মাওয়াত) আমাদের মোর্শেদে গাউছুল আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী বহুসংখ্যক মুরীদানের মৃত্যুর সময় মোশের্দে গাউছুল আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী কলেমা ত্বলক্বীন দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে।
হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী (রঃ) “জিয়াউল কুলুব” কিতাবে লেখেন, মোরাকাবা বা ধ্যানেরসময় যে সমস্ত নূর ডানে, বামে, কখনো সামনে, মাথার দিকে পরিদৃষ্ট হয় তা শুভ অর্থাৎ ভাল নূর। বিশেষ কোন রঙের নূর যদি ডান কাঁধের বরাবর সামনে পরিদৃষ্ট হয় তবে তা হবে ফেরেস্তা গণের নূর। সাদা রঙের নূর হলে তাহবে কেরামান কাতেবীনের নূর। সবুজ পোষাক পরিহিত সুন্দর কোন মানুষ, অন্য কোন ভাল চেহারায়, যদি ঐ নূর প্রকাশ পায়, তবে বুঝতে হবে এরা ফেরেশতা। ধ্যানকারীর হেফাজতের জন্য তাদের আগমন। ডান কাঁধের কিছুটা দূরে চোখ বরাবর যদি কোন নূর পরিদৃষ্ট হয় তবে তা হবে পীর মুর্শিদের নূর। একেবারে সামনের দিকে কোন নূর পরিদৃষ্ট হলে বুঝতে হবে তা “নূরে মোহম্মদী”। নূরের আরো অনেক অবস্থা ছোট পুস্তক হিসেবে এখানে সম্পূর্ণ উল্লেখ করা সম্ভব হল না।